আজ শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাবনা ১আসনের এমপি টুকুর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়:বেড়া-সাথিয়া আওয়ামীলীগ

পাবনা ১আসনের এমপি টুকুর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়:বেড়া-সাথিয়া আওয়ামীলীগদুর্নীতির অভিযোগসহ কিছু বিতর্কীত কর্মকান্ডে টুকুর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়।এখানে বর্তমানে সাইয়িদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে

নবকুমার:

পাবনা ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য  সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী এড.শামসুল হক টুকুর বিভিন্ন সময়ে বিতর্কীত কর্মকান্ডে তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় বলে জানিয়েছে একাধিক বেড়া- সাথিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

সরোজমিনে যুরে দেখা গেছে যে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ভাই বেড়া পৌর সভার মেয়র আব্দুল বাতেন সাথিয়া উপজেলার চতুরবাজার বেড়া উপজেলার সীমানার মধ্যে নিয়ে আসায় সাথিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগ সহ সকল পেশার মানুষ নিজেদের অস্তিস্ত্বের প্রশ্নে বর্তমান এমপির দিক থেকে তারা তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয় টুকুর উপর তাদের আস্থা কমে যায় । বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি হয় ।

বেড়া  উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের বিএনপি থেকে টুকু সাহেবের মাধ্যমে আওয়ামীলীগে যোগদানকারি হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মকলুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে হত্যার সাথে জড়িত যুবলীগ নেতা ফজর আলী। সন্ত্রাসী ফজর টুকু ,বাতেনের আশ্রয়ে থাকে ।

সম্প্রতি বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দাদা কে যুব লীগের সম্মেলন থেকে হত্যার হুমকি দেয় ফজর।যুবলীগের সম্মেলন স্থগিত হওয়ায় টুকুর প্রতি ক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগ।

টুকু ও তার পরিবারের দুর্নীতির অভিযোগ  ও তার পুত্রের প্রায় ১শত ২১ কোটি টাকার ঋণখেলাপি থাকায় সাধারণ জনগণের আস্থাহারিয়ে জনপ্রিয়তা কমছে।

এড.শামসুল হক টুকু জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় এব্যাপারে নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক বেড়া উপজেলার একজন সিনিয়র প্রবীন  নেতা সংবাদচর্চকে বলেন,টুকু বাতেনের ২০০৮ সালের  নির্বাচনের পূবে কি পরিমান সম্পদ ছিলো মন্ত্রী হওয়া কি পরিমান হয়েছে?তার মতের বাইরে গেলেই নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়।বর্তমানে সে জনপ্রিয়তার শূনের কোঠায় রয়েছে। টাকার বিনিময়ে দু /একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বেড়া সাথিয়ায় নিয়ে সে মিথ্যাচার করছে।অামরা বেড়া বাসি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী পরিবতন চাই।

সাথিয়া উপজেলার সিনিয়র নেতা বলেন,আমরা সাথিয়াবাসি আর টুকু বাতেনের নেতৃত্ব চাই না।টুকু সাহেবকে তার কর্মকান্ডের কারণে বর্তমানে সাথিয়ার সব শ্রেণীর মানুষ বর্জন করছে।তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়।আমরা এ আসনের প্রার্থী

পরিবর্তন চাই।শিক্ষিত সবার কাছে গ্রহন যোগ্য প্রার্থী  চাই।

সাথিয়ার কৃষক আমীর আলী বলেন,চায়ের দোকানে টুকু সাহেবকে সবাই গালি দেয়।কৃষকদের জন্য সাইয়িদ ভালো কাজ করেছে। সব চায়ের দোকানে সাইয়িদের গল্প সবাই করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা দুর্নীতির অভিযোগসহ কিছু বিতর্কীত কর্মকান্ডে টুকুর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়।এখানে বর্তমানে সাইয়িদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে টুকুকে মনোনয়ন দেওয়া হলে জয় লাভ সম্ভব নয়।সাইয়িদকে মনোনয়ন দিলে বিজয় সহজ হবে।

এব্যাপারে জানতে টুকু সাহেবের সাথে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করতে  চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাই।